মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

সূর্য একটি নক্ষত্র

মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময় কিছু এরূপ জ্যোতিষ্কের সৃষ্টি হয় যাদের নিজস্ব আলো রয়েছে। তাদেরকে নক্ষত্র বা তারকা বলা যায়। সূর্য একটি নক্ষত্র। আমাদের দেখা সকল বস্তুর মধ্যে পৃথিবী অপেক্ষা তের লক্ষ গুণ বড় সূর্যই বৃহত্তম। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ১৫ কোটি কিলোমিটার। তাই আমরা সূর্যকে এতো ছোট দেখি। পৃথিবীর তুলনায় লক্ষ লক্ষ গুণ বড় সূর্যকে বলা হয়ে থাকে একটি মাঝারি আকারের তারকা।
কেন? এর উত্তর আসবে একটু পরে।
আলোর বেগ সব বেগের উপরে অর্থাৎ, সেকেন্ডে ৩ লক্ষ কিলোমিটার। এ হিসেবে সূর্য থেকে আলো পৃথিবীতে পৌঁছায় ৫০০ সেকেন্ডে তথা ৮মিনিট ২০ সেকেন্ড সময়ে। কিন্তু এমন নক্ষত্রও রয়েছে যেখান আলো এখনও পৃথিবীপৃষ্ঠে পৌঁছায়নি। তাহলে পৃথবী থেকে এদের দূরত্ব কল্পনা করতে পারেন?
এ মহাবিশ্ব মহাবড়। তাহলে কত বড় হবেন মহাস্রষ্টা আল্লাহ তা'য়ালা।
সূর্যের জ্বালানি আছে হাইড্রোজেন আর হিলিয়াম। এ জ্বালানির প্রজ্জ্বলনে আমরা পাই আলো আর তাপ। এ জ্বালানি একদিন শেষ হলে সূর্য কালো বর্ণ ধারণ করবে ঠিক নিভানো প্রদীপের মতো।
মহাগ্রন্থ কোরআনে এর ব্যতিক্রম কিছু বলা হয়নি।
উল্লেখ্য, আমরা ভোরের শুকতারা বা গোধূলি লগ্নের যে সন্ধ্যাতারা চিনি তা কিন্তু তারা নয়।
এটি একটি গ্রহ যার নাম শুক্রগ্রহ। গ্রহের আলোচনায় সেসব বিষয় আসবে।
সবাই ভাল থাকুন।

সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

মহাবিশ্ব সৃষ্টির সূচনা@ খোরশেদ একাডেমী

আমরা কেহই মহাবিশ্বের বাইরে নয়। মহাবিশ্বে মোদের বসবাস। এ মহাবিশ্ব সম্পর্কে মহাজ্ঞানীরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বলেছেন বিভিন্ন কথা। স্বাধীনভাবে দিয়ে গেছেন নানা মত। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কিছু  ঝাপসা ধারণা আজ যতটুক পারি পরিস্কার করতে চাই। অাশা করছি ধৈর্যচ্যুতি না ঘটিয়ে পড়ে যাবেন।
মহাবিশ্বের সৃষ্টি এক মহাবিস্ফোরনের মধ্য দিয়ে। অনেকে আমরা একে বিগব্যাঙ বলে জানি। কেন এই বিগব্যাংবিগব্যাঙ? মহাবিশ্বের সৃষ্টির শুরুতে ঘটেছিল ইলেকট্রন মেঘমালার সংকোচন। এ ক্রম সংকোচনশীলতার কারণে ইলেকট্রন মেঘমালায় প্রচন্ড চাপের সৃষ্টি হয়। এ প্রচন্ড চাপই মহাবিশ্ব সৃষ্টির কারণ মহাবিস্ফোরণ ঘটায়।

এর থেকেই সৃষ্টি হয় নানা জ্যোতিষ্কমন্ডলী- নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ, উল্কা ইত্যাদি।